Amar Atmojibini (1959-1982)
()
About this ebook
From the start to next 23 long years of service life with the Government Organisation. The socail condition has got its reflection in this autobiography. চাকুরী জিবনের সুরু থেকে ২৩ বছরের অভিজ্ঞতা। অবশ্যি ে জীবন্টা ছিল সরকারী চাকুরের। কাজে কাজেই আমলাতান্ত্রিক সনাজে কিছু চেহারা এতে দেখা যাবে, সাদা কালর ছবির যুগের ছবিতে কালের প্রকোপ পড়েছে।
Dilip Kr. Bandyopadhyay
Retired from service since last 20 years. Writes in Bengali mostly in rhyming poems. Interested in travel. Happily married.
Read more from Dilip Kr. Bandyopadhyay
ছড়ার ছড়াছড়ি Rating: 0 out of 5 stars0 ratingsদেশ বিদেশের রূপকথা Rating: 0 out of 5 stars0 ratingsদেশ বিদেশের উপকথা Rating: 0 out of 5 stars0 ratingsKobita Guccho Rating: 0 out of 5 stars0 ratingsSampoorna adhunik ramayan Rating: 3 out of 5 stars3/5Vedik Gonit Rating: 0 out of 5 stars0 ratings
Related to Amar Atmojibini (1959-1982)
Titles in the series (4)
Amar Atmojibini (1935-1944) Rating: 0 out of 5 stars0 ratingsআমার আত্মজীবনী (১৯৪৪-১৯৫৯) Rating: 0 out of 5 stars0 ratingsAmar Atmojibini (1959-1982) Rating: 0 out of 5 stars0 ratingsAmar Atmojibini (1982-1990) Rating: 0 out of 5 stars0 ratings
Reviews for Amar Atmojibini (1959-1982)
0 ratings0 reviews
Book preview
Amar Atmojibini (1959-1982) - Dilip Kr. Bandyopadhyay
Published by Dilip Kr. Bandyopadhyay
At Smashwords
June -2013
ISBN 9781301853069
Price 0.00
আমার চাকুরী জীবন
পুরুলিয়া(১৯৫৯-১৯৬১)
১৯৫৯ সালের জুন মাসে আমার কর্পোরেশনের এপ্রেন্টিসশিপ শেষ হলে চাকরী খোঁজা শুরু হল। অবশ্যি ১৯৫৮ সালেই ইউ পি এস সি ত্রিপুরা পলিটেকনিকের একটা ডিমন্সট্রেটর পদের জন্য যে বিজ্ঞাপন দিয়েছিল তাতে আমি দরখাস্ত দিয়েছিলাম আর দিল্লীতে ইন্টারভিউ দিতে ডাক এসেছিল। আমার সাথে আমার এক সহপাঠী দুজনে গিয়েছিলাম দিল্লীতে।
সাথে আমার সাথী গেভাবক্স ক্যামেরা, সাদা কাল ফিল্ম। ঢোলপুর হাউসে আমাকে খালি জিজ্ঞাসা করা হল কলকাতাকে কেন সিটি অফ প্রসেশন বলা হয়। এর সোজা মানে, আমাদের লোক ঠিক করা আছে, তুমি বাড়ী যেতে পার। যাতায়াতের জন্য ট্রেনভাড়া দিয়েছিল এটাই ভাগ্যি। চেকটা হাতে নিয়ে সোজা বাড়ীর দিকে রওয়ানা হতে হবে। ইতিমধ্যে আমাদের দিল্লী ঘুরে দেখাও হয়েছে। আমরা গিয়ে উঠেছিলাম দিল্লী কালীবাড়ীতে। একটা ঘরে আমরা দুজনে। খাওয়া কালীবাড়ীর ক্যান্টীন থেকে। যতদূর মনে পড়ছে মিল প্রতি এক টাকা নিত। মাহের ঝোল, ডাল, ভাত, চাটনী, বেগুন বা আলু ভাজা, একেবারে পেট ভরে খাওয়া। রেড ফোর্ট, কুতুব মিনার দেখে আমরা দুজনেই কলকাতায় ফিরলাম। চেকটা ভাঙ্গাতে কষ্ট পেতে হয়েছিল কেননা আমার বা বাবার ব্যাঙ্ক একাউন্ট ছিল না।
এই সময় বড়মামার সহপাঠী বীরেন ব্যানার্জীর একটা কনষ্ট্রাকশন কোম্পানিতে একটা অফার এল। ওরা তখন দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা তৈরির কাজে ব্যস্ত। আমার সাথে (মাকে বলেছিল) মাইনে বা স্টাইপেন্ড হিসাবে মাসে ১০০ টাকা দেবার কথা হয়েছিল। এর সাথে থাকার জন্য জায়গা। এক সন্ধেবেলা আমি আর বীরেন ব্যানার্জী( তিনু মামু বলে ডাকতাম) দুর্গাপুরের জন্য ট্রেনে রওয়ানা দিলাম। আমি গিয়ে উঠলাম একটা টিনের শেডে (ডর্মিটরী)। সাথে একটা কম্বল ছিল। সেটা জড়িয়ে শুয়ে পড়লাম।
পরের দিন আমার সহকর্মী আমাকে সকাল ৬টা তে ডেকে দিল। কাজে বেরতে হবে। পায়ে গামবুট, হাটু অবধি কাদা তার মধ্যে প্রায় দেড়/দু কিলোমিটার হেটে সাইটে পৌঁছলাম। আমার কাজ হল রোলিং মিলের বেসমেন্টে কেবল লাগানোর সুপারভিসন করা। দিন চারেকের মধ্যে আমাকে বলা হল এবার কোক ওভেন প্ল্যান্টে কেবল লেয়িং আর জয়েন্টিং এর কাজ সুপারভাইস করতে। সকাল ৭টা থেকে কাজ শুরু। দুপুরে ১২টা থেকে ১টা লাঞ্চ ব্রেক। (খেতে যেতে হবে প্রায় দু থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরে, হেটে) বিকেল পাচটায় ছুটি। কিন্তু লেবাররা ওভারটাইম করবে তাই আমাকেও থেকে যেতে হবে। যেহেতু কাজটা পছন্দের ছিল তাই এত কষ্ট সহ্য করেও টিকে থাকব ঠিক করেছিলাম। কিন্তু আমার সব চেয়ে খারাপ লাগছিল রেগুলার যারা কোম্পানিতে ছিল তাদের মাইনে ছিল ১৫০ টাকা তার সাথে থাকা ও খাওয়া ফ্রি। সাইটে যাওয়া আর আসার জন্য গাড়ী দেওয়া হবে। আর আমার বেলায় খাওয়া আমার নিজের খরচে। এসব দেখে আমার আর এখানে কাজ করতে মন চিছিল না।
তা ছাড়াও কোম্পানির আর এক ডাইরেক্টর আমাকে মামার কনেকশন তুলে খোঁটা দেওয়াতে আমি সোজা ২৪ ঘন্টার নোটিশ দিয়ে চাকরী ছেড়ে ফিরে এলাম। মোট হয়ত ১ মাসের মতন চাকরী করেছিলাম। তিনু মামু যদিও আমার বড়মামার সহপাঠী ছিলেন তবুও তার একটু উন্নাসিক ভাব ছিল যেটা আমাকে চাকরী দিয়ে দেখানতে প্রকাশ পেয়েছিল।
জুলাই মাসে আমি বাড়ী ফিরে এলাম আর প্রায় সাথে সাথে রেলের থেকে আমার টেস্টের জন্য কল এল। ইন্টারভিউতে কিছু টেকনিকাল প্রশ্ন করা হয়েছিল তার পর আমাকে মেডিকাল টেস্টে পাঠান হল। তখন ভারতীয় রেল তার বৈদ্যুতীকরনের কাজ শুরু করেছে। এর আগে মুম্বাইতে আর মাদ্রাজে ট্রেন বিদ্যুতে চলত। কলকাতায় হাওড়া থেকে ব্যান্ডেল সবে চালু হয়েছে। প্রথমেই প্রায় ১২০০ কিলোমিটার রেল বৈদ্যুতীকরণের কাজ নেওয়া হল। এটা তখন মালগাড়ী চালানোর দিকে জোর দিয়ে দুর্গাপুর থেকে গয়া; আর টাটানগর থেকে রাউরকেলা এবং ডাঙ্গোয়াপোসী পর্যন্ত করা শুরু হল। এর সাথে আসানসোল থেকে চক্রধরপুর যোগ করে দেবার কাজ নেওয়া হল। সমস্ত কাজটাই দুর্গাপুর, রাউরকেলা এবং টাটানগরের কারখানাতে কাঁচা মাল আনা নেওয়ার সুবিধার জন্য করা হচ্ছিল। এখানে বলে রাখি এই বৈদ্যুতীকরণের কাজ এখনও চলছে যাতে সারা ভারতে রেলে খালি বিদ্যুতই ব্যবহার করা হয়। কয়লার ভান্ডার প্রায় শেষ এবং ডিজেল তেলে ভারত মোটেই স্বয়ং নির্ভর নয়। আমাকে পোষ্টিং দেওয়া হল আদ্রাতে। প্রথম বাড়ী